আকাশের ঠিকানায় আই বাবল দিয়ো- জাকিরুল হক তালুকদার

1.ভালবাসা মরে যায়

ভালবাসা মরে যায়
মুগ্ধতা মরেনা
মুগ্ধ প্রেমিক তাই
ভালবাসা করেনা।
আমি জানিনা ভালবাসার চার লাইনের একটি কবিতা দুইজনে লেখা যায় কিনা! তবে আশ্চর্য্যজনক হলেও সত্যি প্রেমের এ কবিতার প্রথম লাইন দুটি আহসান কবির এবং পরবতর্ী লাইন দুটি পলাশ মাহবুবের লেখা। আমার ধারণা পৃথিবীর ইতিহাসে এটাই হয়তো প্রথম প্রেমের কবিতা যা যৌথভাবে লেখা হয়েছে। তবে আহসান কবির আরো এক কাঠি সরেস। এবারের বইমেলায় 'ভালবাসা মরে যায় মুগ্ধতা মরেনা' শিরোনামে জাগৃতি প্রকাশনী থেকে তিনি একটি উপন্যাস বের করেছেন।

2. নতুন করে বলবটা কি!

শরৎচন্দ্র একবার এক সাহিত্য সভায় বক্তৃতা দিতে গেছেন। বক্তৃতার এক পযর্ায়ে শ্রোতা-দর্শকদের উদ্দেশ্যে বললেন-আপনারা যারা কবিতা লেখেন তারা দয়া করে হাত তুলুন। দেখা গেল শরৎচন্দ্রের ধারনার চেয়েও বেশী লোক হাত তুললো। শরৎচন্দ্র তাদের উদ্দেশ্যে বললেন- 'আপনারা কবিতা লেখা বল্পব্দ করে দেন'। এক দর্শক উঠে দাড়িয়ে বলল-'আপনি নিজেওতো কবিতা লেখেন তো আমাদের নিষেধ করছেন কেন?'
শরৎচন্দ্রের জবাব- 'আমি লিখতাম। এখন আর লিখিনা। কারণ যাই লিখতে যাই সেটাই দেখি রবীন্দ্রনাথ নামে একজন অনেক আগেই লিখে গেছেন'।
প্রিয় পাঠক, ভালবাসা নিয়ে আমি যাই বলতে চাই সেটাই দেখি কেউনা কেউ বলে গেছেন আগেই। তাই নতুন করে আমার আর কিছুই লেখার নেই, কিছুই বলার নেই! তারপরও বলতে হয়, লিখতে হয়!

3. ভালবাসিয়া গেলাম ফাসিয়া

সিমসনকে ভালবেসে রাজা 8ম আ্যাডওয়ার্ড ছেড়েছিলেন রাজ আসন, চন্ডিদাস বারোটি বছর বড়শি নিয়ে বসেছিলেন পুকুরের পাড়ে, ইভের ভালবাসার ফাঁদে পড়ে গন্ধম খেয়েছিলেন এডামস। এমন রয়েছে আরো হাজারো ঘটনা। আশ্চযর্্যজনক হলেও সত্যি, ভালবাসার ফাঁদে পড়ে বারবার কিন্তু ফেসে যাচ্ছে পুরুষরাই। ইতিহাস সাক্ষী নারীরা ভালবেসে একবারও ক্ষমতা কিংবা গদি ছাড়েনি। কিন্তু কেনো পুরুষরাই ফেসে যায় আর নারীরা স্থান করে নেয় কষ্টের আগুনে জ্বলন্ত ও উত্তপ্ত পুরুষের বুকে? এ প্রশ্নের জবাব জানতে হলে চলে যেতে হবে যাযাবর-এর লেখা 'দৃষ্টিপাত' এ। সেখানে লেখা আছে-প্রেম মেয়েদের কাছে একটা প্রয়োজন, সেটা আটপৌড়ে শাড়ির মতো নিতান্তই সাধারন, তাতে না আছে উল্লাস, না আছে বিস্ময়, না আছে উচ্ছলতা। ছেলের পক্ষে প্রেম জীবনের দূর্লভ বিলাস, গরীবের ঘরে বেনারসী শাড়ির মতো ঐশ্বর্যময়, যে পায় সে অনেক দাম দিয়েই পায়, তাই প্রেমে পড়ে পুরুষরাই একমাত্র করতে পারে দূরুহ ত্যাগ এবং দুঃসাধ্য সাধন।'

4. ক্যাম্পাসে প্রেম

ভালবাসি কিনা বাসি বন্ধু
টেরাই করো আমারে
কত্তো ভালবাসি তোমারে!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ছাত্রদের একটি পরিচিত গান। সুর তাল আর লয়ের অভাব হয়না এ গানে। যার যেমন ইচ্ছে তেমন সুর করে গায়। অন্যদিকে একদল ছ্যাকা খাওয়া প্রেমিকের প্রিয় কবিতা কোনটি জানেন? তাহলে জেনে নিন-
"মন ভাল নেই, কুত্তা খেদাই
কুত্তা তবু ফিরে আসে
থাকে বারোমাস পাশে।
প্রিয়া তুমি চলে গেলে
ফিরে আর আসনি
তুমি কুত্তার চেয়েও হারামী।"

এ ক্যাম্পাসে নো ওমেন নো ক্রাইসিস নামে ছাত্রদের একটি সংগঠন আছে। তাদের কাজ হচ্ছে নারী সঙ্গ থেকে দুরে থাকার জন্য ছেলেদের উৎসাহিত করা। এ ধরনের সংগঠন এ ক্যাম্পাসে গড়ে উঠে প্রতিনিয়ত। সাধারনত প্রথম কিংবা দ্বিতীয় বর্ষের ছেলেরাই থাকে এ সংগঠনের নেতৃত্বে। কিন্তু হঠাৎ করেই দেখা যায় সে সংগঠনের সভাপতি কিংবা সম্পাদক কোনো রুপসী নারীর সাথে হাওয়া হয়ে গেছেন। তারপর সংগঠনের অন্যরা অনুসরন করেন সভাপতি-সম্পাদকের পথ। বিলুপ্ত হয় সংগঠন। আবার ফার্স্ট ইয়ারের নতুন ছাত্ররা আসে, সংগঠন তৈরী হয়, আবার ভাঙ্গেও! তারপরও ভাবতে অবাক লাগে গোলাগুলি, হানাহানি, মারামারি, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছে একপাশে, অন্যপাশে এক দল প্রেমিক প্রেমিকাদের আড্ডা চলছে দেদারছে। প্রেমের মত একটি চিরায়ত শক্তি এবং সন্ত্রাস নামক একটি সাময়িক ভাইরাসের পাশাপাশি অবস্থান এটা কেবল ক্যাম্পাসেই সম্ভব।

5. আকাশের ঠিকানায় আই বাবল দিয়ো:

নীল রংয়ের সুগন্ধিযুক্ত কাগজে লিখে বিভিন্ন ডিজাইনে ভাজ করে বাসার কাজের ছেলে কিংবা ছোট বাচ্চাদের দিয়ে প্রেমিক প্রেমিকার কাছে চিঠি পাঠানোর রেওয়াজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল অনেক আগেই। তারপর এসেছে ল্যান্ড কিংবা মোবাইল ফোনের যুগ। তখন 'বেলা বোস'কেও খুজে পাওয়া যেত 2441139 নাম্বারে! কথা হত সরাসরি ফোনে। আজ সে জায়গাটা দখল করে নিয়েছে আই বাবল এবং ইন্টারনেট। এখন দুজনার ভাবের বিনিময় হয় মোবাইল ফোনের আই বাবলের মাধ্যমে। ভয়েস মেইলের মাধ্যমে কথা রেকর্ড করে পাঠিয়ে দেয়া হয় প্রিয়মানুষের নাম্বারে। কেউ কেউ ইমেইলের মাধ্যমে মনের ভাষা জানিয়ে দেন প্রেমিকাকে। কেউ কেউ আবার বন্ধু খোজা আর যোগাযোগের জন্য যে সব ওয়েবসাইট রয়েছে সেগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। যুদ্ধ, হানাহানি আর বিশৃংখলায় পরিপূর্ণ পৃথিবীতে প্রেমিক প্রেমিকার ভাব বিনিময়ের জন্য আগামীতে কোন নতুন প্রযুক্তি আসছে সেটা দেখার জন্যই কেবল মানুষের অপেক্ষা! তবে প্রেমিক প্রেমিকাদের মনের ভাব প্রকাশের জন্য যেমন আসছে নিত্য নতুন প্রযুক্তি তেমনি তাতে সমস্যাও বাড়ছে। আগেকার সময়ে চিঠি পাঠাতে গিয়ে ভয় ছিল কারো হাতে ধরা পড়ার। আর আজ রাষ্ট্র পক্ষ ফোনে আড়িপাতা আইন চালু করায় সেখানেও দেখা দিয়েছে বিপত্তি। তাহলে ভালবাসার গোপনীয়তাটা থাকলো কোথায়? কিন্তু প্রেমের ক্ষেত্রে গোপনীয়তা আবশ্যক। দার্শনিক শ্যাপলার বলে গেছেন -'প্রেমে গোপনীয়তা আবশ্যক। জানাজানি হয়ে গেলে সে প্রেম টেকেনা।' আবার হয়তো কোন প্রেমিক জুটি রসিয়ে রসিয়ে আলাপ করবেন আর গোয়েন্দারা হয়তো সে আলাপে মনোযোগ দিবেন। অন্যদিকে হয়তো পাশ কাটিয়ে বাংলা ভাইয়েরা ঠিকই তাদের কাজ করে যাবে!

6. অবশেষে একটি সুসংবাদ ও একটি দুঃসংবাদ:


ইতালীর পাভিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক দীর্ঘ সম্পর্কের জুটি, স্বল্পস্থায়ী , জুটি এবং একা মানুষের উপর দীর্ঘদিন গবেষণা চালিয়ে এ সিদ্বান্তে পৌছেছেন যে রোমান্টিক প্রেম দীর্ঘস্থায়ী হয় না। এ প্রেম চলে মাত্র এক বছরের সামান্য কিছু বেশী সময়! এটা আশা করি প্রেমিক প্রেমিকাদের জন্য দুঃসংবাদ! তবে সুসংবাদটি হচ্ছে আপনি যদি ইচ্ছা করেন তবে চিরকাল যৌবন ধরে রাখতে পারবেন। নিউইয়র্কের প্লাস্টিক সার্জন ড. স্টিফেন গ্রিনবার্গের মতে -মাথার চুল থেকে পায়ের আঙ্গুল পর্যন্ত সবকিছুই যদি চিরতরুণ রাখতে চান তবে আপনাকে ব্যয় করতে হবে সর্বসাকুল্যে দশ লাখ ডলার এবং তিন মাস সময়! তবে এখন পর্যন্ত এ ধরনের প্লাস্টিক সাজর্ারী করতে কাউকে শুনা যায়নি।
1.ভালবাসা মরে যায়
ভালবাসা মরে যায়
মুগ্ধতা মরেনা
মুগ্ধ প্রেমিক তাই
ভালবাসা করেনা।
আমি জানিনা ভালবাসার চার লাইনের একটি কবিতা দুইজনে লেখা যায় কিনা! তবে আশ্চর্য্যজনক হলেও সত্যি প্রেমের এ কবিতার প্রথম লাইন দুটি আহসান কবির এবং পরবতর্ী লাইন দুটি পলাশ মাহবুবের লেখা। আমার ধারণা পৃথিবীর ইতিহাসে এটাই হয়তো প্রথম প্রেমের কবিতা যা যৌথভাবে লেখা হয়েছে। তবে আহসান কবির আরো এক কাঠি সরেস। এবারের বইমেলায় 'ভালবাসা মরে যায় মুগ্ধতা মরেনা' শিরোনামে জাগৃতি প্রকাশনী থেকে তিনি একটি উপন্যাস বের করেছেন।

2. নতুন করে বলবটা কি!

শরৎচন্দ্র একবার এক সাহিত্য সভায় বক্তৃতা দিতে গেছেন। বক্তৃতার এক পযর্ায়ে শ্রোতা-দর্শকদের উদ্দেশ্যে বললেন-আপনারা যারা কবিতা লেখেন তারা দয়া করে হাত তুলুন। দেখা গেল শরৎচন্দ্রের ধারনার চেয়েও বেশী লোক হাত তুললো। শরৎচন্দ্র তাদের উদ্দেশ্যে বললেন- 'আপনারা কবিতা লেখা বল্পব্দ করে দেন'। এক দর্শক উঠে দাড়িয়ে বলল-'আপনি নিজেওতো কবিতা লেখেন তো আমাদের নিষেধ করছেন কেন?'
শরৎচন্দ্রের জবাব- 'আমি লিখতাম। এখন আর লিখিনা। কারণ যাই লিখতে যাই সেটাই দেখি রবীন্দ্রনাথ নামে একজন অনেক আগেই লিখে গেছেন'।
প্রিয় পাঠক, ভালবাসা নিয়ে আমি যাই বলতে চাই সেটাই দেখি কেউনা কেউ বলে গেছেন আগেই। তাই নতুন করে আমার আর কিছুই লেখার নেই, কিছুই বলার নেই! তারপরও বলতে হয়, লিখতে হয়!

3. ভালবাসিয়া গেলাম ফাসিয়া

সিমসনকে ভালবেসে রাজা 8ম আ্যাডওয়ার্ড ছেড়েছিলেন রাজ আসন, চন্ডিদাস বারোটি বছর বড়শি নিয়ে বসেছিলেন পুকুরের পাড়ে, ইভের ভালবাসার ফাঁদে পড়ে গন্ধম খেয়েছিলেন এডামস। এমন রয়েছে আরো হাজারো ঘটনা। আশ্চযর্্যজনক হলেও সত্যি, ভালবাসার ফাঁদে পড়ে বারবার কিন্তু ফেসে যাচ্ছে পুরুষরাই। ইতিহাস সাক্ষী নারীরা ভালবেসে একবারও ক্ষমতা কিংবা গদি ছাড়েনি। কিন্তু কেনো পুরুষরাই ফেসে যায় আর নারীরা স্থান করে নেয় কষ্টের আগুনে জ্বলন্ত ও উত্তপ্ত পুরুষের বুকে? এ প্রশ্নের জবাব জানতে হলে চলে যেতে হবে যাযাবর-এর লেখা 'দৃষ্টিপাত' এ। সেখানে লেখা আছে-প্রেম মেয়েদের কাছে একটা প্রয়োজন, সেটা আটপৌড়ে শাড়ির মতো নিতান্তই সাধারন, তাতে না আছে উল্লাস, না আছে বিস্ময়, না আছে উচ্ছলতা। ছেলের পক্ষে প্রেম জীবনের দূর্লভ বিলাস, গরীবের ঘরে বেনারসী শাড়ির মতো ঐশ্বর্যময়, যে পায় সে অনেক দাম দিয়েই পায়, তাই প্রেমে পড়ে পুরুষরাই একমাত্র করতে পারে দূরুহ ত্যাগ এবং দুঃসাধ্য সাধন।'

4. ক্যাম্পাসে প্রেম

ভালবাসি কিনা বাসি বন্ধু
টেরাই করো আমারে
কত্তো ভালবাসি তোমারে!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ছাত্রদের একটি পরিচিত গান। সুর তাল আর লয়ের অভাব হয়না এ গানে। যার যেমন ইচ্ছে তেমন সুর করে গায়। অন্যদিকে একদল ছ্যাকা খাওয়া প্রেমিকের প্রিয় কবিতা কোনটি জানেন? তাহলে জেনে নিন-
"মন ভাল নেই, কুত্তা খেদাই
কুত্তা তবু ফিরে আসে
থাকে বারোমাস পাশে।
প্রিয়া তুমি চলে গেলে
ফিরে আর আসনি
তুমি কুত্তার চেয়েও হারামী।"

এ ক্যাম্পাসে নো ওমেন নো ক্রাইসিস নামে ছাত্রদের একটি সংগঠন আছে। তাদের কাজ হচ্ছে নারী সঙ্গ থেকে দুরে থাকার জন্য ছেলেদের উৎসাহিত করা। এ ধরনের সংগঠন এ ক্যাম্পাসে গড়ে উঠে প্রতিনিয়ত। সাধারনত প্রথম কিংবা দ্বিতীয় বর্ষের ছেলেরাই থাকে এ সংগঠনের নেতৃত্বে। কিন্তু হঠাৎ করেই দেখা যায় সে সংগঠনের সভাপতি কিংবা সম্পাদক কোনো রুপসী নারীর সাথে হাওয়া হয়ে গেছেন। তারপর সংগঠনের অন্যরা অনুসরন করেন সভাপতি-সম্পাদকের পথ। বিলুপ্ত হয় সংগঠন। আবার ফার্স্ট ইয়ারের নতুন ছাত্ররা আসে, সংগঠন তৈরী হয়, আবার ভাঙ্গেও! তারপরও ভাবতে অবাক লাগে গোলাগুলি, হানাহানি, মারামারি, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছে একপাশে, অন্যপাশে এক দল প্রেমিক প্রেমিকাদের আড্ডা চলছে দেদারছে। প্রেমের মত একটি চিরায়ত শক্তি এবং সন্ত্রাস নামক একটি সাময়িক ভাইরাসের পাশাপাশি অবস্থান এটা কেবল ক্যাম্পাসেই সম্ভব।

5. আকাশের ঠিকানায় আই বাবল দিয়ো:

নীল রংয়ের সুগন্ধিযুক্ত কাগজে লিখে বিভিন্ন ডিজাইনে ভাজ করে বাসার কাজের ছেলে কিংবা ছোট বাচ্চাদের দিয়ে প্রেমিক প্রেমিকার কাছে চিঠি পাঠানোর রেওয়াজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল অনেক আগেই। তারপর এসেছে ল্যান্ড কিংবা মোবাইল ফোনের যুগ। তখন 'বেলা বোস'কেও খুজে পাওয়া যেত 2441139 নাম্বারে! কথা হত সরাসরি ফোনে। আজ সে জায়গাটা দখল করে নিয়েছে আই বাবল এবং ইন্টারনেট। এখন দুজনার ভাবের বিনিময় হয় মোবাইল ফোনের আই বাবলের মাধ্যমে। ভয়েস মেইলের মাধ্যমে কথা রেকর্ড করে পাঠিয়ে দেয়া হয় প্রিয়মানুষের নাম্বারে। কেউ কেউ ইমেইলের মাধ্যমে মনের ভাষা জানিয়ে দেন প্রেমিকাকে। কেউ কেউ আবার বন্ধু খোজা আর যোগাযোগের জন্য যে সব ওয়েবসাইট রয়েছে সেগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। যুদ্ধ, হানাহানি আর বিশৃংখলায় পরিপূর্ণ পৃথিবীতে প্রেমিক প্রেমিকার ভাব বিনিময়ের জন্য আগামীতে কোন নতুন প্রযুক্তি আসছে সেটা দেখার জন্যই কেবল মানুষের অপেক্ষা! তবে প্রেমিক প্রেমিকাদের মনের ভাব প্রকাশের জন্য যেমন আসছে নিত্য নতুন প্রযুক্তি তেমনি তাতে সমস্যাও বাড়ছে। আগেকার সময়ে চিঠি পাঠাতে গিয়ে ভয় ছিল কারো হাতে ধরা পড়ার। আর আজ রাষ্ট্র পক্ষ ফোনে আড়িপাতা আইন চালু করায় সেখানেও দেখা দিয়েছে বিপত্তি। তাহলে ভালবাসার গোপনীয়তাটা থাকলো কোথায়? কিন্তু প্রেমের ক্ষেত্রে গোপনীয়তা আবশ্যক। দার্শনিক শ্যাপলার বলে গেছেন -'প্রেমে গোপনীয়তা আবশ্যক। জানাজানি হয়ে গেলে সে প্রেম টেকেনা।' আবার হয়তো কোন প্রেমিক জুটি রসিয়ে রসিয়ে আলাপ করবেন আর গোয়েন্দারা হয়তো সে আলাপে মনোযোগ দিবেন। অন্যদিকে হয়তো পাশ কাটিয়ে বাংলা ভাইয়েরা ঠিকই তাদের কাজ করে যাবে!

6. অবশেষে একটি সুসংবাদ ও একটি দুঃসংবাদ:

ইতালীর পাভিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক দীর্ঘ সম্পর্কের জুটি, স্বল্পস্থায়ী , জুটি এবং একা মানুষের উপর দীর্ঘদিন গবেষণা চালিয়ে এ সিদ্বান্তে পৌছেছেন যে রোমান্টিক প্রেম দীর্ঘস্থায়ী হয় না। এ প্রেম চলে মাত্র এক বছরের সামান্য কিছু বেশী সময়! এটা আশা করি প্রেমিক প্রেমিকাদের জন্য দুঃসংবাদ! তবে সুসংবাদটি হচ্ছে আপনি যদি ইচ্ছা করেন তবে চিরকাল যৌবন ধরে রাখতে পারবেন। নিউইয়র্কের প্লাস্টিক সার্জন ড. স্টিফেন গ্রিনবার্গের মতে -মাথার চুল থেকে পায়ের আঙ্গুল পর্যন্ত সবকিছুই যদি চিরতরুণ রাখতে চান তবে আপনাকে ব্যয় করতে হবে সর্বসাকুল্যে দশ লাখ ডলার এবং তিন মাস সময়! তবে এখন পর্যন্ত এ ধরনের প্লাস্টিক সাজর্ারী করতে কাউকে শুনা যায়নি।

Read more: http://lekhalekhi.webnode.com/love/love-talks/

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন